ঘুষের টাকা নেওয়ার ভিডিওচিত্র ভাইরালসহ নানা অভিযোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আলোচিত সেই উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্তের (সাসপেন্ড) সুপারিশ জানিয়েছেন জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. মঞ্জুরুল ইসলাম।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকায় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রার (আইজিআর) কার্যালয়ে সরকারি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
এ ঘটনায় বরখাস্তের সুপারিশ হওয়া অপর তিন কর্মচারী হলেন- মহরার আবদুস সালাম, নকলনবিশ সুমন আহম্মেদ ও দৈনিক মজুরি চুক্তির উমেদার (অফিস সহায়ক) আনিছুর রহমান।
জমিদাতা ও দলিল গ্রহীতাদের সমস্যায় ফেলে অবাধে ঘুষ-বাণিজ্য, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধিতে সহায়তা, জমির প্রকৃত মূল্য কম দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি, অসাধু দলিল লেখকের সঙ্গে ঘুষের টাকা ভাগবাটোয়ারা, ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি ছাড়া দলিল সম্পাদন বন্ধ রেখে সরকারি অফিসে সংবাদ সম্মেলন ও সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা ও প্রমাণ পাওয়ায় সাময়িক বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
ঘুষের টাকা গুনে গুনে নেওয়ার ভিডিওচিত্র ভাইরাল, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখে জেলা রেজিস্ট্রার গত ২৮ আগস্ট এর তদন্ত শুরু করেন। গত আট কর্মদিবসের তদন্তে সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসসহ চার কর্মচারী অভিযুক্ত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে জেলা রেজিস্ট্রার এ সুপারিশ করেন।
জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. মঞ্জুরুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আইজিআর কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। আইজিআর কার্যালয়ে সোমবার আমাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। হয়তো চূড়ান্ত কোনো নির্দেশনাও দেওয়া হতে পারে।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাশ বলেন, অফিস থেকে অবৈধ সুবিধাবঞ্চিত কিছু দলিল লেখক আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগসহ মানববন্ধনেও ইন্ধন দিয়েছেন।