বঙ্গবন্ধু সেতুতে নাশকতা কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ছিল আটক জামায়াত-শিবিরের। বনভোজনের নামে এই নাশকতার পরিকল্পনা করে তারা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থেকে আটক জামায়াত-শিবিরের ৩৬ নেতাকর্মীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এই নাশকতার কথা স্বীকার করেন তারা।
এর আগে গোপালপুর ও ভুঞাপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে নলীন বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের জিহাদি বই পাওয়া গেছে। আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজনের নামে গোপালপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় পূর্বের নাশকতার মামলা রয়েছে। আটককৃতরা গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আটককৃত জামায়াত-শিবিরের লোকদের দেশের বৃহৎ স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতুতে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পূর্বে তারা বনভোজনের নামে সেতু এলাকায় রেকি করেছে। এর আগেও তারা নৌকা ভ্রমণে গিয়ে সরকার উৎখাতে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করে। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার তারা নাশকতা তৈরির জন্য যমুনা নদীতে নৌকা ভ্রমণে যাওয়ার জন্য উপজেলার নলীন বাজারে একত্রিত হয়। এ সময় অভিযান চালিয়ে ৩৬ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের হেমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আনা হয়।
ওসি আরও জানান, আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। এছাড়া দেশে মঙ্গলবার পবিত্র আশুরার অনুষ্ঠান ছিল। এই দিনে তারা বনভোজনের নামে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। এর সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।