নরসিংদীতে ডিশ ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করায় রুহুল আমিন (২২) নামের এক রঙ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী মহল্লার জবা টেক্সটাইল এলাকার পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন একই মহল্লার বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, রুহুল আমিন পেশায় একজন রঙ ব্যবসায়ী। তিনি নরসিংদী বাজারে রঙের ব্যবসা করতেন।
সম্প্রতি রুহুল আমিন স্থানীয় ডিশ ব্যবসায়ী সারোয়ার হোসেনের কর্মচারী মনির হোসেনের নিকট এলাকায় ডিশ ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বুধবার সকাল ১১টার দিকে সারোয়ার হোসেনের ছেলে তানজিল, কর্মচারী মনির, স্থানীয় যুবক ছোটন ও হৃদয় নামের চারজন মিলে রুহুল আমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশে জবা টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন একটি মাঠে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে রুহুল আমিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এম এন মিজানুর রহমান বলেন, ‘তার বুকে, পিঠে, পাজরেসহ প্রায় ১০/১২টি কোপের দাগ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণেই তিনি মারা যান।’
নিহতের ছোট ভাই আলামিন বলেন, 'রুহুল আমিন এলাকায় ডিশের ২/৩ শত সংযোগের দায়িত্ব নিয়ে ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে মনিরের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। এ ঘটনার জের ধরেই তারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।'
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, 'যুবককে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়েছি। কিন্তু কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নই। মামলা হলে বলা যাবে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।'