জুয়েল আকন্দ, পেশায় দর্জি। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে কোনোরকমে। কিন্তু জুয়েল স্বপ্ন দেখেন রাতারাতি অধিক টাকা আয় করার। এজন্য বেছে নেন মাদক ব্যবসা। গ্রামের লোকজন যেন বুঝতে না পারে, সেজন্য স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চলে আসেন বগুড়া শহরে। দর্জি পেশার অন্তরালে কুড়িগ্রাম সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে বিক্রি করেন বগুড়া শহরে। এক চালান গাঁজা বিক্রি করে লাভ হয় তিনগুণ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আমবার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কাহালু থানার ইউছুব গ্রামের রশিদ আকন্দের ছেলে জুয়েল আকন্দকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সে নিজেকে দর্জি বলে পরিচয় দেয়। পরে তার বাসায় গিয়ে দর্জি কাজের সরঞ্জাম দেখা যায়। একপর্যায় তার ঘর থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও গাঁজা বিক্রির টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে সে বিস্তারিত স্বীকার করে।’
তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয় বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।