লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা নিয়ে সদরের দুই ইউনিয়নের সংঘর্ষে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ নেতাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনূর্ধ্ব-১৭ এর সেমিফাইনাল খেলায় এ ঘটনা ঘটে। খেলার শেষের দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ও দালালবাজার ইউনিয়নের খেলোয়াড় ও দর্শকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পোশাকধারী ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় দালাল বাজার টিমের কোচ সুজন হোসেনসহ দুইজনকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল তাদেরকে আটক করেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনূর্ধ্ব-১৭ এর সেমিফাইনাল ম্যাচে শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার দালাল বাজার ও ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন অংশগ্রহণ করে। খেলার শেষের দিকে রেফারি দালাল বাজার ইউনিয়নের এক খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেন। এনিয়ে বিতর্ক হলে রেফারি ম্যাচ পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যান।
এ সময় ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন দুই গোলে এগিয়ে থাকায় দালাল বাজারের খেলোয়াড়রা তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুই ইউনিয়নের দর্শকরা স্টেডিয়াম গ্যালারি থেকে লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে নেমে এসে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে, রাতে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল আহতদেরকে দেখতে সদর হাসপাতালে যান। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দেন তিনি।
আহত অন্যরা হলেন, খেলোয়াড় সাইফুল, নিশাদ, বিপ্লব, আকবর, নাইম, জুয়েল, সজিব, সাইফুল, জিহাদ, জকির হোসেন, ইউসুফ, শাকিল, ইসমাইল, সোহাগসহ ২৭ জন। আহতরা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ, দালালবাজার ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় খেলার মধ্যে দুপক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। উভয়পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফাইনাল খেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।