চাঁপাইনবানগঞ্জের শিবগঞ্জে রাতের আঁধারে রুবেল হোসেন (২৮) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে দুই হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত রুবেলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রুবেল শিবগঞ্জ থানার রানিহাটি বাজার এলাকার মৃত খোদাবক্সের ছেলে।
রুবেলের চাচাতো ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, পদ্মা নদীর একটি ঘাটকে কেন্দ্র করে শিবগঞ্জের উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়েজ ও তার লোকজনের সঙ্গে রুবেল ও তার পরিবারের বিরোধ রয়েছে। বুধবার রাতে রুবেল তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি আসছিলেন। এ সময় শিবগঞ্জের উজিরপুর বেড়ি বাঁধের কাছে কয়েকজন তাদের পথ রোধ করেন এবং পাশেই চেয়ারম্যান ফয়েজের চেম্বারে গিয়ে দেখা করতে বলেন। রুবেল বন্ধুদের নিয়ে চেম্বারে গেলে, তার দুই বন্ধুকে সেখানে আটকে রাখা হয়। আর রুবেলের মুখ ও চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে পদ্মা নদীর বাঁধের নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে নির্যাতন করে তার দুই হাতের কব্জি কেটে নেন চেয়ারম্যানের লোকজন। রাত ১টার দিকে খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আব্দুস সালাম আরো জানান, নিউ পদ্মা ফেরি ঘাট নিয়ে চেয়ারম্যান ফয়েজের সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। এমপি ও তার ভাইয়ের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ মিলে মিশে ঘাটটি চালাচ্ছিল। কিন্তু কিছু দিন ধরে ফয়েজ ফেরি ঘাটটি পুরো নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছিলেন। এর জের ধরেই তার লোকজন রুবেলের দুই হাতের কব্জি কেটে নিয়েছেন। রুবেলের চিকিৎসা শেষে শিবগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে মামলা করা হবে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ঘটনাটি তারা শুনেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি।
এ বিষয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যান ফয়েজকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।