নড়াইলের কালিয়ায় মাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে মাহিমা (২) নামের এক শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার হাড়িডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, কালিয়া উপজেলার হাড়িডাঙ্গা গ্রামের ছাদিয়ার থান্দারের ছেলে মাহামুদ থান্দার বিদেশে (সৌদি আরবে) কর্মরত। এই সুযোগে মাহামুদের ভাই শামীম থান্দারসহ পরিবারের লোকজন পারিবারিক কলহের জের ধরে মাহামুদের স্ত্রী তাছলিমা বেগমকে (৩০) রোববার সকালে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় তাছলিমার একমাত্র শিশুকন্যা মাহিমাকেও মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে পুলিশ শামীমের বাড়িতে গিয়ে শিশু মাহিমার খোঁজ করেন। এ সময় তাদের পরিবার ঠিকভাবে মাহিমার খোঁজ দিতে না পারায় পুলিশ আশপাশে খোঁজা শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মাহিমাকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে মাহিমাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাছলিমার অভিযোগ তাকে তাড়িয়ে দিয়ে তার শিশুকন্যাকে শামীম ও তার পরিবারের লোকজন পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় তাছলিমার দায়ের করা অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ বোচা থান্দারের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে (৩৭) শিশু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করে।
কালিয়া থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) ইকরাম হোসেন বলেছেন, নির্যাতিত গৃহবধূ তাছলিমা বেগমের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তার শিশু কন্যাকে উদ্ধার করতে শামীমের বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন ওই শিশুর সন্ধান দিতে পারেনি। পরে, পুলিশ তাকে পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করেছে। তাছলিমার অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড বলেই ধারনা করা হচ্ছে।