হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাছিম রেজা এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার সাতহাইল গ্র্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া, মিছির আলীর ছেলে রাহুল মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফরিদ মিয়া।
রায় ঘোষণার সময় বাদশা মিয়া ও রাহুল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে ফরিদ মিয়া পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০১২ সালের ১০ জুলাই নবীগঞ্জ উপজেলার সাতহাইল গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ বাড়ি থেকে বের হয়ে হবিগঞ্জে যান। ওই রাতেই দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মরদেহ শায়েস্তাগঞ্জ রেল লাইনে ফেলে রাখে। পরদিন ১১ জুলাই সকালে সাংবাদিক জুনাইদ আহমদের মরদেহ টুকরো অবস্থায় উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
এ ঘটনায় জুনাইদের ভাই মোজাহিদ আহমদ ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে একই গ্রামের ফরিদ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর গণ্যে রুজু করার জন্য জিআরপি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। মামলার খবর পেয়েই প্রধান আসামি ফরিদ লন্ডনে পালিয়ে যান। একই সাথে অপর আসামিরাও আত্মগোপন করেন।
হবিগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আল আমিন হোসেন জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ২০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। দুই আসামিই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে বিকেলে কারাগারে পাঠানো হবে।
এদিকে, মামলার অপর আসামি আব্দুল হামিদকে ওই বছর স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। প্রায় এক বছর জেলে থাকার পর মুক্তি পেলে তার অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় লোকজন গণপিটুনিতে আব্দুল হামিদকে মেরে ফেলেন।