ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার হওয়া তিন বাংলাদেশি কিশোরীকে স্বদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বর্তমানে তারা এনজিও সংস্থা জাস্টিজ এন্ড কেয়ার নামে যশোরের একটি শেল্টার হোমের আশ্রয়ে আছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ সদস্য যৌথভাবে তাদেরকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের হাতে তুলে দেয়।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির যশোর শাখার অ্যাডভোকেট নাসিমা খাতুন ও পাচারের শিকার কিশোরী বার্তাটোয়েন্টিফোরকে জানায়, পরিবারে অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয় সাথীর। শ্বশুরবাড়ির পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিয়ের এক মাসের মাথায় তাকে ভারতে পাচার করা হয়। ট্রেনের মাধ্যমে ভারতে পাচার হওয়ার ব্যাপারটি বুঝতে পেরে সেখানেই সে কান্নাকাটি শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়ার পর গত ৭ মাস ভারতের সুকন্যা নামের একটি শেল্টারের আশ্রয়েই ছিলেন সাথী।
অপর দিকে এক বছর আগে দালালের প্রলোভনে ভাল কাজের সন্ধানে দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে ভারতে যান পিরোজপুরের নান্টু ফারাজির স্ত্রী। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে তাদের আটক করে। পরে মায়ের আশ্রয় হয় জেলে ও মেয়েদের আশ্রয় হয় শেল্টার হোমে। সেখান থেকে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্বদেশ প্রত্যাবাসন আইনে মেয়েরা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিন্টু দাস জানান, কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে এনজিও কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া। এনজিও কর্মকর্তারা নিজ নিজ পরিবারের কাছে তাদের ফিরিয়ে দেবে।