রয়েছে হাজার হাজার বই। প্রতিদিন আসছে ১২টি জাতীয় দৈনিক এবং প্রতি মাসে আসছে ১২টি নতুন ম্যাগাজিন। আশপাশে আছে সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা। তবে ৩৪৬০ বর্গফুটের আয়তনের দুটি পাঠকক্ষে মোট পাঠকের সংখ্যা ৫-৬ জন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় জেলার ডা. জহির উদ্দিন জেলা সরকারি গ্রন্থাগারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
গ্রন্থাগার অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রয়োজনের অধিক বই থাকা সত্ত্বেও দিন দিন পাঠক শূন্যতায় ভুগছে জেলার সবচেয়ে বড় এই গ্রন্থাগারটি। এখানে রয়েছে পাঠক রেফারেন্স, পরামর্শ, সাম্প্রতিক তথ্যজ্ঞান, নির্বাচিত তথ্য বিতরণ, তথ্য অনুসন্ধান, পুস্তক আদান-প্রদান, ফটোকপি, পুরাতন পত্রিকার তথ্য, বিনা মূল্যে ইন্টারনেট, শিশুদের জন্য টয় ব্রিজ ও মাইক্রো বিট সেবা প্রদানসহ অনেক কিছু।
গ্রন্থাগারটিতে আসা পাঠকরা বলছেন, এখানে বই আছে হাজার হাজার কিন্তু পাঠক আছে মাত্র কয়েকজন। কর্তৃপক্ষ যদি পাঠক বাড়াতে উদ্যোগ না নেন তাহলে ধীরে ধীরে পুরোপুরি প্রাণ হারিয়ে ফেলবে গ্রন্থাগারটি।
১৯৯৩ সালে পঞ্চগড় জেলার পৌরসভার ডোকরোপাড়া এলাকায় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ রোড সংলগ্ন স্থাপিত হয় ডা. জহির উদ্দিন গ্রন্থাগারটি। বর্তমানে একজন লাইব্রেরিয়ান, সহকারী লাইব্রেরিয়ান, অফিস সহায়ক ও মাত্র একজন নৈশপ্রহরী দিয়ে চালানো হচ্ছে গ্রন্থাগারটি।
এদিকে, পাঠক বাড়ানোর বিষয়ে গ্রন্থাগারটির গ্রন্থাগারিক হাবিব খাতুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে পাঠক বাড়ানো যায় এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা এই গ্রন্থাগারটি শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।