নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভোলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগেীদের চিকিৎসা সেবা চলছে। হাসপাতালের অপরিচ্ছন্ন মেঝেতে বাসা বেধেছে মশা-মাছি। এসব নিয়ে কথা বললে ডাক্তার ও নার্সদের দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
ভোলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫২ দিনে ভোলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৫ শত ৫২ জন। এর মধ্যে ভোলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৩৬৯ জন। অন্যদের ঢাকা, বরিশালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা সাত জন।
ভোলা সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি কয়েকজন রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করায় ভোলা সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ড এখন ময়লা-আবর্জনায় পরিনত হয়েছে। পরিষ্কার করার কথা বললে রোগীদের ওপর চড়াও হয় ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরতরা। এমনকি ওই ওয়ার্ডে ভর্তি অনেকেই জানেনা তাদের ডেঙ্গু হয়েছে কিনা।
ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগী ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের আরজু বেগম বলেন, আমাকে একবার বলে অপনার ডেঙ্গু হয়েছে আবার বলে অপনি সুস্থ আছেন বাড়ি চলে যান।
ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, আগের চেয়ে বর্তমানে ভোলায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে। ভোলার সব হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম আছে। ডাক্তার সংকট থাকলেও ডেঙ্গু চিকিৎসায় কাজ করছে মেডিকেল টিম। ডেঙ্গু রোগীর জন্য পর্যাপ্ত ঔষধ মজুদ রয়েছে। ডেঙ্গু ওয়ার্ডের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও রোগীদের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।