লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে এক নারী গার্মেন্টস কর্মীর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর হাসপাতালের কর্মচারী আতিক চন্দ্র দাসের ছেলে রাজন চন্দ্র দাস ও ডোম (লাশ পরিবহনকারী) সাহাব উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন। সকালে ওই হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই নারী সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসীর স্ত্রী। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ঢাকা থেকে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে রোগী দেখতে আসেন তিনি। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বলা হয়, তাদেরকে দুইদিন আগেই ছেড়ে দেয়া হয়। রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বাড়ি যেতে পারেননি। পরে তিনি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় রাত যাপনের উদ্দেশে বসেছিলেন।
রাত ২টার দিকে আসামিরা এসে তাকে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে তারা কৌশলে তাকে ছাদে নিয়ে যায়। এ সময় তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে তাদেরকে ধাক্কা মেরে ওই নারী ছাদ থেকে চলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশকে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় গার্মেন্টসকর্মী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।