বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন না দিয়ে উল্টো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এতে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আর নিজ দল থেকে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় ভোটাররা জানান, সোনাইছড়ি ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ তথা নৌকার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গত প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে রায় দিয়েছেন এখানকার ভোটাররা।
জানা গেছে, আসন্ন ১৪ অক্টোবর ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গোপন ব্যালটে তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ায় এবং সাংগঠনিক জরিপসহ নানা দিক বিবেচনায় ক্ষমতাসীন দল থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যানিং মারমাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়। কিন্তু এ প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বাহান মারমা।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আট নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ফকির আহমদ ভুলু জানান, নৌকার প্রার্থী এ্যানিং মারমার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বগুণ রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে নৌকার বিরোধী প্রার্থী হওয়ায় বাহান মারমাকে সাধারণ ভোটাররা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন।
এ্যানিং মারমা জানান, তৃণমূলের ভোট, ব্যক্তিগত জরিপসহ নানা বিষয় পর্যালোচনার পর দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি বিজয়ী হয়ে স্থানীয় জনগণের সেবা ও উন্নয়নে কাজ করা প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নির্বাচনের শুরু থেকেই সব দল ও মতের মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা তার পক্ষে আছে বলে দাবি করেন তিনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান জানান, স্বাভাবিকভাবে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় কঠোর সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে সোনাইছড়ির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাইক্ষ্যংছড়ি গিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনকে ঘিরে সোনাইছড়িতে প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোটের মাঠে নেই বিএনপি।