খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে ৬২ মিমি ৩৮০ রাউন্ড (চায়না) গুলির খোসা ও ২ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বড়ডলুর ভূতাইছড়ি মুসলিমপাড়া এলাকা থেকে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এগুলো উদ্ধার করে মানিকছড়ি থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা মো: ফয়েজ আহম্মদ এর একটি গরু গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মানিকছড়ি উপজেলার বড়ডলুর ভূতাইছড়ি মুসলিমপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষীছড়ি সেনা জোনের টহল দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেনা টহলের ওপর গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীরা। এ সময় পাল্টা গুলি চালায় সেনা সদস্যরা।
ঘন্টাব্যাপি গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে রাতেই সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি এসএমজি, ২৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিনসহ স্বশস্ত্র গুলিবিদ্ধ উপজাতীয় সন্ত্রাসীকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) মো: মাসুদ করীম।
এ ঘটনায় লক্ষীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো.আনিসুর রহমান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ হামলার জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করলেও তা অস্বীকার করেছে সংগঠনটির খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
তিনি বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনার সাথে ইউপিডিএফের সম্পৃক্ততা নেই। আর যে এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে সেখানে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সাংগঠনিক কোন কার্যক্রম নেই বলে তিনি জানান।