শরৎ মানেই কাশফুল আর নীল আকাশে সাদা মেঘের ঢেউ। নদীর পাশ কিংবা বিশাল চরেই দেখা মিলে কাশফুলের। তবে কাশফুলে সেজে রয়েছে লক্ষ্মীপুরের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে উঠছে দর্শনার্থীরা।
লক্ষ্মীপুর শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে শাকচর গ্রামে সড়কের পাশে মেসার্স একেপি ব্রিকস নামে পরিত্যক্ত ওই ইটভাটাটি রয়েছে। বেশ কয়েকবছর হয়েছে সেখানে ইট তৈরি হচ্ছে না। তবে প্রতিবছরই ওই স্থানে কাশফুল ফুটে দর্শনার্থীদের রশদ যোগাচ্ছে। জেলার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মজুচৌধুরীর হাট মেঘনা তীরে যাওয়ার পথেই কাশফুলগুলো দেখতে পাওয়া যায়।
এ বছরও ওই ইটভাটায় কাশফুলকে ঘিরে দর্শনার্থীদের পদচারণা ঘটে। স্মৃতি হিসেবে সবাই ক্যামেরায় ধারণ করে কাশফুলের ছবি। নিজেদের ছবি তোলাও বাদ যায় না।
কাশফুলের মাঝে ছবি তুলতে আসা স্কুলছাত্র সালমান হোসেন মাহিন বলেন, ‘কাশফুল আমার ভালো লাগে। তাই মামার সঙ্গে কাশফুল দেখতে চলে এসেছি। মামা আমাকে কয়েকটি ছবিও তুলে দিয়েছে।’
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র রাশেদ হোসেন বলেন, ‘আমরা তিন বন্ধু মজুচৌধুরীর হাট মেঘনার তীরে যাচ্ছিলাম। পথে পরিত্যক্ত ইটভাটায় কাশফুলগুলো চোখে পড়ে। আগে খাল-বিলের পাশে কাশফুল দেখা গেলেও এখন দেখা যাচ্ছে না। এজন্য এখানে কাশফুলের সঙ্গে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি।’