পদ্মা সেতু দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়!

মাদারীপুর, দেশের খবর

সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজবাড়ী | 2023-08-31 00:44:26

মাদারীপুরের শিবচরের কাঠাঁলবাড়ী থেকে ফিরে: পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। পদ্মা সেতু এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। পদ্মা নদীর বুকে ভাসছে বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটাবে স্বপ্নের এ সেতু। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি চালু হলে অর্থনীতিবিদদের মতে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়াবে ১.৫ শতাংশ। যাতে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি মিলবে। আর এতে দারিদ্র বিমোচন হবে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ।

পদ্মা সেতু এখন অনেকটা দৃশ্যমান

 

তেত্রিশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতু চালু হলে ঢাকাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক পথে যুক্ত হবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা। প্রবহমান প্রমত্তা পদ্মার ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে চলবে যানবাহন ও ট্রেন।

ছুটির দিনে দর্শনার্থীরা সেতু দেখতে এসেছেন

 

নির্মাণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আশা করছে এ রকম গতিতে কাজ চলতে থাকলে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হতে পারে পদ্মা সেতুর দ্বার। কিন্তু দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার আগেই দৃশ্যমান স্বপ্নের সেতু এক নজর দেখতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা ভিড় করছে পদ্মার দু'পাড়ে।

সরেজমিন দেখা যায়, মাদারীপুরের শিবচরের কাঠাঁলবাড়ী ৪ নম্বর ফেরিঘাটের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে নানা পেশা ও শ্রেণির মানুষ পায়ে হেঁটে স্বপ্নের সেতু দেখার চেষ্টা করছে। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও এসেছে। কেউ আবার এসেছে সপরিবারে। তবে সেতুর নির্মাণে নিরাপত্তার স্বার্থে সেতুর কাছে যেতে না পারলেও দূর থেকেই এক নজর দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা।

সেতু দেখতে এসে ছবি তুলতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা

 

পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীরা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পদ্মা সেতু এখন অনেকটা দৃশ্যমান। তাই সেতুটি দেখতে প্রতিদিনই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থী আসছে। সেতু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেতুর কাছে আমরা দর্শনার্থীদের যেতে দিচ্ছি না।

দূর থেকে সেতু নির্মাণের কাজ দেখছেন দর্শনার্থীরা

 

পদ্মা সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার শতবর্ষী বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন মোল্লা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দেবে। এটি আমাদের জাতীয় সম্পদ। সেতটিু এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। তাই আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এটি দেখার জন্য সবাই এসেছি।

দ্বিতল পদ্মা সেতুটির উপরের তলায় থাকছে চার লেনের সড়ক। আর নিচের তলাতে চলবে ট্রেন। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত এই সেতুটি নির্মাণ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন। নদীর দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশিয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর