কৃষকের আমন ক্ষেতে সবুজের ঢেউ

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-28 16:06:52

এবারে গাইবান্ধা জেলার সবকটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় জমিতে লাগিয়েছেন আমন ধান। কৃষকের সেই আমন ক্ষেতে এখন সবুজ সমারোহে ভরে উঠেছে।

গাইবান্ধার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে নজর কাড়ছে আমন ক্ষেত। ভোরের শিশির ভেজা ধানের শীষগুলো অপরূপ শোভা ছড়িয়ে দুলছে। চলতি আমন মৌসুমে আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।

জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় প্রচণ্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে বুনেছিলেন রোপা আমন চারা। সেই আমন ধানের ক্ষেত প্রকৃতির খেয়ালে গাঢ় সবুজ রঙ ধারণ করেছে। কৃষকরা ইতিমধ্যে ক্ষেত পরিচর্যাসহ সার-কীটনাশক প্রয়োগ সম্পন্ন করেছেন। ধানের চারাগুলোয এখন থোর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর কিছুদিন পরই কৃষকদের আমন ক্ষেতে বের হবে মৌ মৌ গন্ধ। এর পরই নজর কাড়বে সোনালি ধান। বাম্পার ফলন ও ন্যায্য দাম পেলে কৃষকরা হয়তো ভুলে যাবে রাক্ষসী বন্যার ক্ষতবিক্ষত চিত্র।

গাইবান্ধায় আমন ধানের ক্ষেত | ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম


গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গেল বন্যায় গাইবান্ধার ৭ উপজেলার সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ করেছেন।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনছার আলী জানান, গেল বন্যায় সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমনের চাষ করেছেন। আশানুরূপ ফলন ও বাজারে ভালো দাম পেলে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তিনি।

আরেক কৃষক নেজাম উদ্দিন জানান, এবারে রোপা আমনে ছিল তীব্র চারা সংকট। বিভিন্ন এলাকা থেকে চড়া দামে চারা সংগ্রহ করতে হয়েছে। উৎপাদিত ধানের সঠিক দাম না পাওয়া গেলে এবার হয়তো পথে বসতে হবে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. এস এম ফেরদৌস জানান, গেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আমন চারা বিতরণ করাসহ নানান ধরনের কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। তাদের রোপণ আমন ক্ষেতে গিয়ে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর