মাদারীপুরের শিবচরের কাঠাঁলবাড়ী থেকে ফিরে: কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে সাধারণ যাত্রী ও দেশের দূর-দূরান্ত থেকে পদ্মা সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ। ফলে দর্শনার্থীদের হতাশ হয়েই ফিরে আসতে হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, দশ মিনিটের জন্য কোনো যাত্রী যদি স্পিডবোট ভাড়া করে নদীতে ঘুরতে চান তাহলে তাকে গুনতে হচ্ছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা! আবার কেউ যদি সেতু দেখার জন্য ভাড়া করতে চান তাহলে তাকে দিতে হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত।
অন্যদিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়াতে একজন যাত্রীকে নদী পার হতে ১৫০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়। যা অতিরিক্ত বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়!
পদ্মা সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থী গোপালগঞ্জের সাকিব আল রিফাত ও রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমরা পদ্মা সেতু দেখার জন্য স্পিডবোট ভাড়া করতে গেলে আমাদের কাছে ৪ হাজার টাকা ভাড়া চায়। পরে তাদের বললাম তাহলে আমাদের ১০ মিনিট নদীতে ঘুরাবেন কত ভাড়া দিতে হবে? তখন তারা বলে ৩ হাজার টাকা লাগবে।১০ মিনিটে ৩ হাজার টাকা!-এজন্য আর ঘুরতে যাইনি।
মাদারীপুরের শিবচরের বাসিন্দা রাকিব হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমাকে প্রায়ই শিমুলিয়া যেতে হয় কাজে। লঞ্চ বা ফেরিতে নদী পার হতে গেলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। যার কারণে স্পিডবোটে নদী পার হই। কিন্তু একজন যাত্রীকে নদী পারের জন্য ১৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। যা অনেক বেশি। প্রশাসনের উচিত ভাড়া কমানো।
বিআইডব্লিউটিএ’র কাঁঠালবাড়ি ঘাটের টিআই আক্তার হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, স্পিডবোট আমাদের নিয়ন্ত্রণে না। এটা স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কথা বলা জন্য কাঁঠালবাড়ি স্পিডবোটের ইজারাদার ইয়াকুব আলীকে ফোন দিলে তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের এই প্রতিনিধিকে তার সাথে দেখা করার অনুরোধ জানান এবং বলেন, ভাই ৭০-৮০ লাখ টাকা দিয়ে ঘাট ইজারা নিয়েছি। কি করবো বলেন? তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে আমার কাছে কোন যাত্রী বা দর্শনার্থী অভিযোগ করেনি। বেশি ভাড়া যদি কেউ চেয়ে থাকে তাহলে সেটা অন্যায়।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল নোমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়াতে নদী পারের জন্য ১৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। এর বেশি কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর দর্শনার্থীদের কাছ থেকে রিজার্ভের জন্য কোনো ভাড়া নির্ধারণ করা নেই। তবে ১০ মিনিটের জন্য ৩ হাজার টাকা ভাড়া চাওয়া অনৈতিক।