উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তিন উপজেলার বেলগাছা, সাপধরী চিনাডুলি, নোয়ারপাড়া, চিকাজানী, ডাংধরা, চর আমখাওয়া, মেরুরচর, বগারচর নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি স্থানে নদ-নদীর ভাঙনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ধর্মীয়প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ফসলের মাঠ, অসংখ্য বসত বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। চরাঞ্চলের গরিব মানুষগুলো সবকিছু হারিয়ে অসহায়ের মতো দিন যাপন করছে।
জানা গেছে, জামালপুরে এবার ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। আর বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই নতুন করে শুরু হয়েছে ভাঙন তাণ্ডব। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ইতোমধ্যে ২ হাজার ১৭৩টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। এছাড়া ৪ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ফসলের মাঠ বিলীন হয়ে গেছে।
জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, ৪ উপজেলা থেকে নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর তালিকা এসেছে। সেই তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ ৫১ লাখ টাকা ও ১ হাজার ৭শ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, খুব দ্রুত ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প কাজ শুরু হবে। আর যমুনা নদী খনন ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প সরকারের কাছে আহ্বান করা হচ্ছে। তবে আপাতত ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।