হবিগঞ্জ সদর থানায় পুলিশি নির্যাতনে চেক ডিজঅনার মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ফারুক মিয়া (৪৫) নামে ওই আসামিকে অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ থানা থেকে সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে সদর থানার একদল পুলিশ আসামিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
মৃত আসামি ফারুক মিয়া (৪৫) শহরের মোহনপুর এলাকার সঞ্জব আলীর ছেলে। তিনি ১৫ হাজার টাকার একটি চেক ডিজঅনার মামলার আসামি ছিলেন।
মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে কলেজছাত্র সাঈদুল ইসলাম জানান, রাত ২টার দিকে সদর থানার একদল পুলিশ আসামির বাড়িতে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরে সেখান থেকেই মারতে মারতে আসামিকে থানায় নিয়ে আসে। এরপর থানায় এনেও রাতভর চালানো হয় নির্যাতন। এক পর্যায়ে আসামি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সকালে পুলিশ তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী আসামিকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী জানান, মৃতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, আসামিকে রাত ২টার দিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। এ কারণে স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন। আর যদি এ ঘটনায় পুলিশ দায়ী থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।