নাটোরে মাত্র একদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে। জেলার নলডাঙ্গা ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দামে এমন তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।
প্রতিদিন একটু একটু করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ভোক্তাদের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। তবে পেঁয়াজ মজুতকারীরা দাম বৃদ্ধির সুযোগে কয়েকগুণ মুনাফা তুলে নিয়েছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাচকৈর মোকামে সর্বোচ্চ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এদিন মণ প্রতি পাইকারি ৪১০০ টাকা, খুচরা ৪৮০০ টাকা এবং কেজি প্রতি ১২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নলডাঙ্গা বাজারে মণ প্রতি পাইকারি ৩৪০০ টাকা, খুচরা ৩৮০০ টাকা এবং কেজি প্রতি ৯৫ টাকা দরে, নাটোর সদরে মণ প্রতি পাইকারি ৩০০০ টাকা, খুচরা ৩৬০০ টাকা এবং কেজি প্রতি ৯০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাত্র এক দিন আগে ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের খুচরা মূল্য গুরুদাসপুরে কেজি প্রতি ১০০ টাকা, নাটোর সদরে ৭০ টাকা ও নলডাঙ্গায় ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তিন উপজেলার বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে। এতে ভোক্তাদের মধ্যে নাভিশ্বাস উঠেছে।
গুরুদাসপুর উপজেলার চাচকৈর মোকামের পেঁয়াজের ব্যাপারী উজ্জ্বল শেখ জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে ৪০ টাকার পেঁয়াজ বর্তমানে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোকামে পাইকারি ১০০ টাকা কেজি।
নাটোর সদরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আয়েজ আলী জানান, সোমবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা শনি ও রোববার ৭০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে বিক্রি কমে গেছে।
নলডাঙ্গা হাটের আড়তদার সেলিম রেজা ও গোলাম মোস্তফা জানান, বড় মোকাম হওয়ায় এখানে বেশিরভাগ পেঁয়াজ পাইকারি কেনাবেচা হয়। খুচরা ও পাইকারি দামের ব্যবধান ৪শ থেকে ৫শ টাকার বেশি নয়। তবে অন্যান্য স্থানের তুলনায় কম মূল্যেই এখানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা আবুল হোসেন জানান, হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাড়তি দাম তাদের চিন্তায় ফেলেছে। এক সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজিতে ক্রয় করেছেন, সে পেঁয়াজ এখন কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নাটোর জেলা সভাপতি রইস উদ্দীন জানান, হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার পরেও এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো রকম মনিটরিং ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জেলা পর্যায়ে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছে না। ভোক্তাদের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি মনিটরিং ও মজুদের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।