টানা বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চণ সেতুর পূর্বপাড়ে দাউদপুর ইউনিয়নের লক্ষ্যা শিমুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অভিযানে এসএসবি, এনএসটিবি, বিএবি নামের ৩ টি ইটভাটার বর্ধিত অংশ, একটি মুরগির খামারের বর্ধিতাংশ, ৫ টি ড্রেজার পাইপ, ৫ টি দেয়াল, ২ টি বাঁশের জেটি, ৫ টি টিনের ঘরসহ ২৩ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে অবৈধভাবে নদীর তীর দখল করে ৪ টি ইটভাটার সামনে স্তুপ করে রাখা বালু, কয়লা ও মাটি ৪ লাখ ২৪ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
শুরুতে নদীর তীর দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ মুরগির খামারের সামনের অংশ ভেঙে দেওয়া হয় এবং নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ড্রেজার পাইপ লাইন গুড়িয়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ইটভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালিত হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শীতলক্ষ্যার এই অংশে নতুনভাবে সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। নতুন সীমানায় কোন অবৈধ স্থাপনা থাকলে তা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করা হবে। নদী দখলকারীরা যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। নদী অবৈধ দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযান উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মো: শহীদুল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রূপগঞ্জ উপজেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছে নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।