নাটোরের লালপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে প্লাবিত ৩টি ইউনিয়নের ১৫টি চরে বসবাসকারী মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বিলমাড়িয়া ইউনিয়নে বিলমাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ঈশ্বরদী ইউনিয়নে গৌরিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও লালপুর ইউনিয়নে লালপুর পাইলট হাইস্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। চরের মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করলেও অন্যরা আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানের আত্মীয়দের বাড়িতে। তিন ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৩ হাজার পরিবার। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পর্যন্ত স্থানীয় কৃষি বিভাগ ২৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি নষ্ট হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি রাজশাহীর চারঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত না হলেও ইতোমধ্যে প্লাবিত এলাকাগুলোতে পানি বেড়েছে।
তিনটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে পানিতে আগাম সবজি ও ভাটার ইট ডুবে নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে চর অধ্যুষিত ঈশ্বরদী ও লালপুর ইউনিয়নের চরগুলো পানিতে ডুবে গেছে। তবে মঙ্গলবার বিকেল থেকে চরের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান জানান, পদ্মার পানি রাজশাহীর চারঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর লালপুরের নিকটবর্তী পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা বরাবর অবস্থান করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দ্রুত তা বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানিন দ্যুতি জানান, পানিবন্দী মানুষের নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। চরের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।