শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেত্রী ফাইমা আক্তারকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ও সন্ধ্যায় তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বয়স্ক ও বিধবা ভাতা করে দেয়ার নামে বেশ কয়েকজন নারীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তালবাহানা করার অভিযোগে ভুক্তভোগীরা তাকে লাঞ্ছিত করেন।
জানা গেছে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাইমা আক্তার বেশ কয়েকজন নারীর কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা নেন। এরপর কয়েক মাস পার হলেও কার্ড পায়নি তারা।
এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা বিকেলে উপজেলা পরিষদের অফিসে তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে যায়। এসময় টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সন্ধ্যার দিকে ফাইমা আক্তার বাড়ি ফেরার সময় শিবগঞ্জ থানার সামনে ওই নারীরা তাকে ঘেরাও করে লাঞ্ছিত ও মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
সন্ধ্যার পর তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফাইমা আক্তার বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বোরকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মারপিটের ঘটনা ঘটেছে কিনা জানি না। তবে বিকেলে খবর পেয়ে তার অফিসে পুলিশ গিয়ে জানতে পারে, কার্ড করে দেয়ার নামে তিনি ৭-৮ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। ওই নারীরা টাকা ফেরতের জন্য তার অফিসে গিয়ে চড়াও হন। সন্ধ্যায় মারপিটের ঘটনা পুলিশকে কেউ জানানো হয়নি।