রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নদীতে ফেরি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আক্টোবর) দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মাত্র পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। তাও আবার খুবই ধীরগতিতে। স্বাভাবিক সময়ের থেকে নদী পার হতে ফেরিগুলোর দ্বিগুণ সময় লাগছে। যার ফলে দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পড়েছে চরম বিপাকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, নদীর স্রোতের বেগ না কমলে সহসাই মুক্তি মিলবে না এই সমস্যার। তবে যানবাহনগুলোকে যতটুকু সম্ভব নদী পারের জন্য চেষ্টা করা হবে।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা সোহাগ পরিবহনের যাত্রী আশরাফ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বুধবার রাত ৯টায় দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। কিন্তু এখনো নদী পার হতে পারি নাই। আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। তবে এখানে কারো কিছুই করার নাই। কারণ, এটা প্রাকৃতিক সমস্যা।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের ( বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘নদীতে তীব্র স্রোতের দেখা দিয়েছে। যার কারণে ফেরিগুলো চলতে পারছে না। বর্তমান দৌলতদিয়ার ১ ও ২ নং ঘাট বন্ধ রয়েছে। বাকি চারটি ঘাট সচল থাকলেও ফেরি চলতে পারছে না। যার কারণে, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়াতে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন অপেক্ষা করছে।’
স্রোতের গতিবেগ না কমা পর্যন্ত ঘাট ব্যবস্থাপনা সহজেই স্বাভাবিক হবে না বলেও জানান তিনি।