দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় যাবত বন্ধ রয়েছে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ফলে যোগ্য এবং দক্ষ ছাত্রনেতার পাশপাশি রাজনৈতিক মাঠে প্রকৃত নেতা তৈরির পথ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হচ্ছে। ছাত্র সংসদ না থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকার ও যৌক্তিক দাবি পূরণ করায় ছাত্র নেতারা ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১৯৫৭ সালে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে এই কলেজ যেমন শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়েছে তেমনি রাজনৈতিক মাঠে যোগ্য ও আদর্শবান রাজনৈতিক নেতা সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে কলেজছাত্র সংসদ। বর্তমানে এই কলেজে ১৬ টি বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স এবং ডিগ্রি পাসকোর্স সহ উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় ১২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তবে সর্বশেষ ১৯৯৩ সালের পর আর ছাত্রসংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় যেমন সম্ভব হয়নি। তেমনি বিভিন্ন ভাবে শিক্ষার্থীদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জেলা ও কলেজ শাখার ছাত্র নেতারা চাচ্ছেন পাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে সকল ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা কলেজে ছাত্র রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হোক। আদর্শিক এবং প্রতিনিধিত্বশীল ছাত্র রাজনীতির অগ্রগতি ঘটুক।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার জানান, ছাত্র রাজনীতিকে আরও সক্রিয় করতে এবং সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষে কথা বলতে ছাত্র সংসদের প্রয়োজন রয়েছে। একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধিরা বের হয়ে আসলে তারা আগামী দিনের নেতৃত্ব দিতে আরও সচেষ্ট থাকতে পারবে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ছাত্র ছাত্রীদের অধিকার আদায় এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে ছাত্র প্রতিনিধিরা ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন কলেজ শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব গাজী জাফর ইকবাল। আর সরকারের নির্দেশনা পেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
তবে দীর্ঘদিন যাবত পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মিত ছাত্র সংসদের নামে চাঁদা আদায় করা হয়। আর এসব অর্থ কলেজ কর্তৃপক্ষ কিভাবে ব্যয় করছেন তার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।