ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের দুই জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে ছয়টি পল্টুনের মধ্যে চলছে চারটি পল্টুন। আর ১৬টি ফেরির মধ্যে চলছে ১০টি ফেরি।
হঠাৎ পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে দেখা দেয় তীব্র স্রোত। আর স্রোতের তীব্রতার কারণে ব্যাহত হয় এই নৌরুটের ফেরি ও লঞ্চ চলাচলে। ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল। এতে ঘাটের উভয় পাশে দীর্ঘ সময় নদী পারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় কয়েক শত পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস।
এদিকে তীব্র স্রোতের কারণে শুক্রবার বেলা ১টা থেকে বিআইডব্লিইটিএ লঞ্চ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। এখন পর্যন্ত তা বন্ধই রয়েছে।
বর্তমান পদ্মার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দৌলতদিয়াতে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। আর ঘাটের ৬টি পল্টুনের মধ্যে ৪টি পল্টুন এখন সচল রয়েছে। দুটি পল্টুন বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, নদী ভাঙনের কারণে ১নং ঘাটটি বিলীন হয়ে গেছে। আর তীব্র স্রোত ও ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকায় ২ নং ঘাটটি বন্ধ রয়েছে।
বর্তমান ৪ টি ঘাট দিয়ে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। নদী পারের জন্য এখন ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ নেই।