দেয়ালের ধস ঠেকাতে বাঁশের খুঁটি

পঞ্চগড়, দেশের খবর

মোহাম্মদ রনি মিয়াজী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম,পঞ্চগড় | 2023-08-22 21:56:41

পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয় পৌরসভার জালাসী এলাকায় অবস্থিত। মাধ্যমিক এ বিদ্যালয়টি জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত । বর্তমানে বিদ্যালয়টির অবস্থা দেখলে মনে হয় এটা কোন পরিত্যক্ত স্থাপনা।

পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরে ফাটল ধরায় ধস ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের খুঁটি। ফলে প্রাচীরটি যেমন বিপদজনক হয়ে দাঁড়িছে তেমনি অবিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে পড়েছে আতঙ্কে। সীমানা প্রাচীরের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর দিকের ধস ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের খুঁটি। তাছাড়া প্রাচীরের সামনে পাকা সড়ক হওয়ায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

জানা যায়, গত ২০১১ সালে বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪৫০ ফুটের এ প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয় । কিন্তু কয়েক বছরের মাথায় প্রাচীরে ফাটল ধরে ও হেলে পড়ে। প্রাচীরটি ধসের হাত থেকে রক্ষার জন্য বাঁশের খুঁটি দিয়ে আটকিয়ে রাখছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র কাউসার ইসলাম জানান, 'আমরা প্রাচীরের পাশে খেলতে পারি না। সীমানা প্রাচীর ফাটল ধরায় আমরা আতঙ্কে থাকি।'

একই কথা জানালেন পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বর্ণী আক্তার সে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানায়, 'আমাদের বিদ্যালয়ের প্রাচীর বাঁশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে কিন্তু তা তো বেশি দিন থাকবে না তাই আমাদের অনুরোধ এটি সংষ্কার করে যেন নতুন প্রাচীরের ব্যবস্থা করা হয়।'

পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, 'বিদ্যালয়ের প্রাচীরের অবস্থা খুবই খারাপ ও ঝুঁকিপূর্ণ। গত জুলাই মাসে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী দেয়াল ধসে মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে সীমানা প্রাচীরের ধস ঠেকাতে দ্বিতীয় দফায় বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করেছি।'

এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, 'পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য গত আগষ্ট মাসে একটি আবেদন জমা দিয়ে ছিল। প্রাচীরটি ভেঙে ফেলার জন্য মৌখিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর