পাবনার পদ্মা নদীর পানি দ্রুত গতিতে কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাকশী হার্ডিঞ্জ পয়েন্টে পদ্মার পানি কমেছে ৯ সেন্টিমিটার।
রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের কর্মীরা ১৪ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করেছেন। এতে করে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম।
এদিকে, পানি কমতে থাকায় নতুন করে পাবনার ৩ উপজেলার ১০ ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে নদী ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। গত কয়েকদিনে উজানের ঢলে সমস্ত কিছু পানির নিচে তলিয়ে নিঃস্ব হলেও নতুন করে বসতভিটা হারানোর আতঙ্ক তাদের মনে বাসা বেঁধেছে।
উজানের পানি কমে যাওয়ায় সুজানগর উপজেলার গুপিনপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের আঞ্চলিক সড়ক, স্থানীয় একটি কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রক্ষায় আড়াই হাজার জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে।
স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসীর সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কারণে প্রতি বছর নদী ভাঙনের কবলে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে অতিবিলম্বে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর হামিদ বলেন, ‘পাবনার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় এর প্রভাব বেড়া ও সুজানগর উপজেলায় এসে পড়েছে। এখানে এলজিইডির গ্রামীণ পাকা সড়ক, গোরস্থান ও ঈদগাহ রক্ষায় আড়াইহাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ‘পানি বিপদসীমার অনেক নিচে চলে এসেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি শতভাগ ছিল। সরকারিভাবে ত্রাণ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ চাহিদা মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
প্রভাবশালীদের অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ‘বালি উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'