ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে দীর্ঘ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটের যাত্রীদের। পদ্মা পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়।
ফেরি ঘাটের আরসিএল মোড় থেকে ঘাটের জিরো পয়েন্টের এক কিলোমিটার পথ পারি দিতে এক মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সে পথ পারি দিতে পারছেন না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা।
এতে ভোগান্তি চরমে উঠেছে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পন্টুনের সমস্যার কারণে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এজন্য এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানায় ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বরিশালগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সুপারভাইজার অহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টায় গাবতলী থেকে যাত্রী নিয়ে সাড়ে ১২টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের অপেক্ষামাণ যানবাহনের সিরিয়ালে যোগ হয় তাদের গাড়ি। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘাটের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি এসেছে তাদের গাড়ি। ছয় ঘণ্টায়ও এক মিনিটের রাস্তা পার হতে পারেননি তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশালগামী এক যাত্রী জানান, ফেরিঘাট এলাকার যানজটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষামাণ থেকে একেবারে নাজেহাল তিনি। টয়লেটের অভাবে কষ্ট করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। একই সঙ্গে দ্রুত এ ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৬টি ফেরি আছে। তবে স্রোতের কারণে সবগুলো ফেরি চলাচল করতে পারছে না। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে মাত্র আটটি ফেরি চলাচল করছে।
সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেড় শতাধিক বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় আরও কিছু ট্রাক নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে ট্রাক পারাপার বন্ধ রেখে যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।