সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনে লাখো মানুষের মিলনমেলা

কক্সবাজার, দেশের খবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার | 2023-09-01 04:03:44

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে বসেছিল লাখো মানুষের মিলনমেলা। উৎসাহ-উদ্দীপনায় সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় দেওয়া হলো দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গাকে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগামী বছর ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভক্তরা সজলচোখে বিদায় দিয়েছেন মাকে।

এরআগে মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে আসতে শুরু করে লাখো মানুষ। প্রতিমাকে ঘিরে পূজা অর্চনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় খাসা ও ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসবে মুখর হয়ে ওঠে পুরো সৈকত।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানান, সকাল থেকে কক্সবাজার জেলার পূজা মণ্ডপগুলোতে বিরহের সুর বেজে ওঠে। দুপুরের পর থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিমা বহনকারী ট্রাকগুলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দিকে আসতে থাকে। বেলা ৩টার পর থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। উন্মুক্ত মঞ্চে চলে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ পূজা উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তারা।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রণজিত দাশ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টায় বিসর্জন মঞ্চ থেকে মন্ত্র উচ্চারণ শেষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শুরু হয় বিসর্জন। একে একে কক্সবাজার জেলার দুই শতাধিক পূজা মণ্ডপের প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়া হয় সাগরে।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ছাড়াও পুরো শহরজুড়ে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর