পদ্মার পানি কমলেও নদীতে এখনো কমেনি স্রোতের গতিবেগ। অন্যদিকে অব্যাহত রয়েছে নদীর ভাঙন। প্রতিদিনই ভাঙনের কবলে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। ফলে বেশ কয়েক দিন ধরেই মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি ও লঞ্চ চলাচল। স্রোতের কারণে পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর লঞ্চ চলাচল শুরু করলেও তা সীমিত।
অন্যদিকে প্রবল স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ৬টি পন্টুনের মধ্যে ৪টি পন্টুনই এখন বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১ ও ২নং ফেরি ঘাট। আর ৩ ও ৪ নং ফেরি ঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকায় তাও বন্ধ ঘোষণা করেছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, নদীতে পানি কমলেও স্রোতের বেগ কমেনি। যার কারণে ফেরি চলতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া নদী ভাঙনের কারণে ১ ও ২নং ঘাট বিলীন হয়ে গিয়েছে। আর ৩ ও ৪নং ফেরি ঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকায় এদুটিও বন্ধ রাখা হয়েছে। ৬টি ঘাটের মধ্যে মাত্র দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটের স্বল্পতার কারণে বর্তমানে ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, নদী ভাঙন থেকে ঘাটগুলোকে রক্ষা করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ঘাটগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
এদিকে নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া প্রান্তে অপেক্ষা করছে শত শত যানবাহন। যার মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ি নদী পার করায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফেরির নাগাল পাচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো।