নতুন কমিটি ঘোষণার তিন মাসের মাথায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পৌর শহরে আনন্দ মিছিল শেষে হারুন পার্কে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজিমুল ইসলাম শুভ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জিল্লুর রহমান, পৌর ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি উত্তম সরকার, গৌরীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়াসিকুল ইসলাম রবিন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মজিবুর রহমান খান সুমন, অন্তর খান পাঠান প্রমুখ।
এর আগে গত ৯ জুলাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে আল মুক্তাদির ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইমতিয়াজ সুলতান জনি, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে আল হোসেইন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোফাজ্জল হোসেনকে মনোনীত করে ছাত্রলীগের দুটি শাখার কমিটি ঘোষণা করে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ।
কিন্তু কমিটি গঠনের পরপরই অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের নতুন দুটি শাখার কমিটিতে বয়স্ক, বিবাহিত, ইউনিয়নের বাসিন্দাকে পৌর কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি ও হত্যা মামলার আসামিকে রাখা হয়েছে।
ওই অভিযোগ তুলেই উপজেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বিদায়ী কমিটির নেতা-কর্মীরা।
এদিকে, ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কমিটি পুনর্বহালের দাবিতে মুক্তাদির ও জনির অনুসারীরা গৌরীপুরে মিছিল ও সমাবেশ করে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘নতুন কমিটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে। এ জন্য আমরা আনন্দ মিছিল করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছি।'
অপরদিকে, উপজেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আল মুক্তাদির বলেন, ‘যারা আনন্দ মিছিল করেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ না, কমিটিতে তাদের কোনো পদ নেই। আর আমাদের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে, কিন্তু বাতিল করা হয়নি। আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওনারা কমিটি পুনর্বহালের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।'