সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিশু তুহিন মিয়াকে (৫) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুর মা মনিরা বেগম (৩৬)। তুহিনের মা বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন, তাতে আসামি করা হয়েছে ১০ জনকে।
তবে এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশ শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ করছেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে- তুহিনের বাবা, ৪ চাচা, এক চাচি ও এক চাচাতো বোনকে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সুনামগঞ্জ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই হত্যা মামলায় তাদের সবাইকে গ্রেফতার দেখানো হবে। সে বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে।
১০ জন আসামিই শিশুটির পরিবারের সদস্য কিনা, এই বিষয়ে কোনো আসামির কথা সরাসরি নিশ্চিত না করলেও পুলিশ বলছে, আটককৃতরাই হত্যার সঙ্গে জড়িত। এর বাইরে আপাতত অন্য কোনো যোগসূত্র দেখছে না পুলিশ।
জানতে চাইলে, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, এটা স্পষ্ট যে এ ঘটনায় তুহিনের পরিবারের লোকজন জড়িত। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। তবে কার ভূমিকা কি ছিল, এটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মোল্লা আবু তাহের বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তারাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
উল্লেখ্য, রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার মরদেহ রাস্তার পাশের একটি কদম গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি যৌনাঙ্গও কেটে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যার পর শিশুর কান ও লিঙ্গ কেটে নিল দুর্বৃত্তরা
খবর পেয়ে সোমবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম, সিআইডি ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা, চাচি ও এক চাচাতো বোনকে থানায় আনে পুলিশ।