বগুড়ায় জমে উঠেছে আগাম শীতকালীন সবজির হাট

বগুড়া, দেশের খবর

গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া | 2023-08-10 07:21:36

বগুড়ায় হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন আগাম সবজি। আর এসব সবজি কিনতে বগুড়ার মহাস্থান হাটে ভিড় করেছেন পাইকারসহ স্থানীয়রা। প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আগাম চাষ করা সবজি বাজারে বিক্রি করে কৃষকও বেশ ভাল দাম পাচ্ছেন। ফলে জমে উঠেছে আগাম শীতকালীন সবজির এই হাট।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে মহাস্থান সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকে শত শত কৃষক তাদের উৎপাদিত শাকসবজি নিয়ে বাজারে বিক্রি করার জন্য এসেছেন। কেউ এনেছেন লাউ, কেউ বরবটি, শিম, করলা, লাল শাক, মূলা শাক। আর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শাকসবজি কেনার জন্য বাজারে ভিড় করছেন পাইকাররা। এখানাকার সবজি গুণে মানে ভালো হওয়ায় বগুড়াতো বটেই, সারাদেশে এই সবজির চাহিদা রয়েছে।

সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এই সবজির বাজার চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরপর ট্রাক বোঝাই করে সবজি চলে যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এই বাজারে ফুলকপির মণ ১২০০-১৪০০ টাকা, মূলা ৮০০-৯০০ টাকা, পেঁপে ৬০০ টাকা, আর করলার মণ ১২০০- ১৩০০ টাকা। বাঁধাকপি ১৫ টাকা পিস, লাউ ২০-৩০ টাকা। ধনিয়া পাতার কেজি ৮০-১০০ টাকা, শিম ১০০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা কেজি, মিষ্টি লাউ ৫০-৬০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কথা হয় শিবগঞ্জ উপজেলার তালিমপুর গ্রামের মূলা চাষী হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে মূলা চাষ করেছি। আগাম চাষ করা সবজিগুলো বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছি। তাই বেশ ভালো লাগছে।

একই উপজেলার বিহার গ্রামের জিল্লুর আকন্দ জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে বাঁধাকপির ১২ হাজার চারা রোপণ করেছিলেন। বিক্রি শুরু করেছেন দুই সপ্তাহ আগে থেকে। দুই বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। তিনি কমপক্ষে এক লাখ ২০ হাজার টাকার বাঁধাকপি বিক্রি করবেন।

ভবানীগঞ্জ গ্রামের কৃষক মোজাফ্ফর রহমান জানালেন তিনি আড়াই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভাল ফলন হয়েছে। তিনি ১৬০০ টাকা মণে কপি বিক্রি করছেন।

সবজির ব্যাপারী মিঠু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, তিনি ৩০ টাকা পিস দরে সকাল থেকে ৩০০ পিস লাউ কিনেছেন। এগুলো যাবে নোয়াখালীর আড়তে।

মহাস্থান হাটের পাইকাররা জানান, এ হাট থেকে সবজি কিনে তারা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করার পাশাপাশি খুচরা বিক্রি করে থাকেন।

মহাস্থান সবজি হাটের আড়তদার আব্দুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পরেও মহাস্থান হাট থেকে এখন ট্রাকে ট্রাকে সবজি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। ভরা মৌসুমে শতাধিক ট্রাকে সবজি সরবরাহ করা হয়।

পাইকার সবজি ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, এ হাটের শীতকালীন আগাম সবজি কিনে পরিবহনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলাতে নিয়ে যাই। এ সবজিগুলো প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে খুচরা বাজারে বিক্রি করি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর