ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। তাই এই ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ শিকার, আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়, বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে পটুয়াখালীর বাজারগুলো এখন ইলিশ শূন্য। ফলে কদর বেড়েছে অন্য মাছের।
পটুয়াখালীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে রুই, পাবদা, গলদা চিংড়ি, কই, সরপুঁটি, তেলাপিয়া, পোয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের ছোট মাছ বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে সেগুলোর দাম ছিলো বেশ চড়া।
রুই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। যা অন্য সময় বিক্রি হত ২৩০-২৫০ টাকায়, চাষের কই কেজি প্রতি ৭০ টাকা বেশি দরে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। যা অন্য সময় ৩০০ টাকায় বিক্রি হত। পোয়া মাছে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। প্রতি কেজি পোয়ার দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এক কেজি গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। যা আগের তুলনায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি।
মাছের চড়া দামের কারণ জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ইলিশ বিক্রি বন্ধ। এখন অন্য মাছের চাহিদা বাড়ছে। হঠাৎ চাহিদা বাড়ার কারণে বাজার একটু চড়া।
এ প্রসঙ্গে রাসেল মিয়া নামের আরেক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সঙ্গে বরফকলগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে চাষ করা মাছ পরিবহন করা যাচ্ছে না। মাছের চাহিদা বেশি কিন্তু সরবরাহ কম। আর এ কারণেই দামটা একটু বেশি।
৫০০ টাকা দিয়ে এক কেজি পাবদা মাছ কেনেন সোলেমান মিয়া, যদিও তার কাছে প্রতি কেজির দাম চাওয়া হয়েছিল ৫৫০ টাকা। এই ক্রেতা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'ইলিশ যখন ছিল তখন ৪০০ টাকায় পাবদা মাছ কিনেছি। ইলিশ ধরা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ১০০ টাকা বাড়তি গুনতে হলো।'
অবরোধের এই সময়ে সাগর ও নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড এবং নৌ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করছে। এ পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় ৪২ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।