কয়েক বছর আগে দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবু তাহের মো. নুর-উজ-জামান চৌধুরী, উপ-মহাব্যবস্থাপক এ.কে.এম. খালেদুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহাম্মদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিনাজপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহামেদ ভূঁইয়া দুদকের করা মামলার অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) ভিত্তিতে এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ২৩ জুলাই দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলমের পক্ষে চার্জশিট দাখিল করেন দিনাজপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান।
দুদকের দেয়া চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত (মেয়াদে) ঘাটতিকৃত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ টন কয়লা আত্মসাতে জড়িত। যার বাজার মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা। আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।
খনি থেকে কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পক্ষে ম্যানেজার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।