ফরিদপুরে দুদকের মামলায় জুনিয়র অডিটরের কারাদণ্ড

ফরিদপুর, দেশের খবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ফরিদপুর | 2023-08-24 08:52:05

ফরিদপুরে দুদকের মামলায় রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সাবেক জুনিয়র অডিটর মো. শামসুল হককে (৬২) বিভিন্ন মেয়াদে ১৮ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ১৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতে জজ মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় প্রদানের সময় জুনিয়র অডিটর মো. শামসুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মো. শামসুল হক রাজবাড়ী পৌরসভার সজনকান্দা মহল্লার বাসিন্দা। তিনি ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল থেকে ২০০২ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত পাংশা উপজেলার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে জুনিয়র অডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এ মামলার নথি থেকে জানা যায়, পাংশায় কর্মরত থাকা অবস্থায় শামসুল হক বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মচারীদের নামে ভুয়া জিপিএস’র (জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড) অগ্রিম বিল তৈরি করে ও মঞ্জুরিপত্র প্রস্তুত করে ওই কার্যালয় থেকে বিল পাশ করান। এরপর মোট ৮ লাখ ৯ হাজার টাকা উত্তরা ব্যাংক রাজবাড়ী শাখায় নিজের হিসেবে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে ওই বিল ও মঞ্জুরিপত্র বিনষ্ট করে দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত ফরিদপুর কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক গাজী মো. শামসুল আরেফিন বিষয়টি তদন্ত করেন। গত ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট পাংশা থানায় নিজে বাদী হয়ে মো. শামসুল হককে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেই এ মামলার তদন্ত করে গত ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) প্রদান করেন।

দুদুকের ওই মামলার সরকারি কৌঁসুলি মো. মজিববর রহমান জানান, আদালত জুনিয়র অডিটর মো. শামসুল হককে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় সরকারি কর্মচারী হয়ে অর্থ আত্মসাতের দায়ে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৮ লাখ ৯ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম করাদণ্ড ভোগ করতে হবে। জালজালিয়াতির দায়ে তাকে ৫ বছর সশ্রম কারদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারদণ্ড ভোগ করতে হবে। দণ্ডবিধির ৮৭৭(৩) ধারায় ভুয়া হিসাব তৈরির দায়ে ৩ বছর সশ্রম কারদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাস বিনাশ্রম করাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, তবে দণ্ডপ্রাপ্ত শামসুল হক একসঙ্গে সব সাজা ভোগ করতে পারবেন। সেই হিসেবে তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর