১৬ বছর পর বেগমগঞ্জ আওয়ামী লীগের সম্মেলন

নোয়াখালী, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নোয়াখালী | 2023-08-22 08:50:25

নোয়াখালীর গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা বেগমগঞ্জ। ষোল ইউনিয়নসহ চৌমুহনী পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। নোয়াখালীর রাজনৈতিক মেরুকরণ অনেকটাই বেগমগঞ্জ উপজেলার উপর নির্ভর করে। এ গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় গত ২০০৪ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। 

সম্মেলনে বর্তমান নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ এ বি এম জাফর উল্যাকে সভাপতি এবং বর্তমান বেগমগঞ্জ আসনের এমপি মামুনুর রশিদ কিরনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। নানা অজুহাতে গত ষোল বছর সম্মেলন হয়নি।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় ৩ বার সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করে ২০ অক্টোবর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

এবারের সম্মেলনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক বাদশাকে আহ্বায়ক করে সম্মেলন কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলা কমিটির সদস্য আলমগীর কবির আলো জানান, ইউনিয়ন প্রতি ৩১ জন, পৌরসভায় ৩১ জন এবং বিশেষ কোটায় ২০ জনকে বিশেষ ভোটার করে মোট ৬১৮ জন ভোটারের ভোটের মাধ্যমে এ পরিষদের নেতা নির্বাচিত হবে।

বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ডাঃ এ বিএম জাফর উল্যা এবারও সভাপতি প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। তার বিপরীতে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সল সভাপতির প্রার্থী হিসাবে প্রচারণায় রয়েছে।

তিনি মনে করেন জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন। আগামীতে আরো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে যোগ্য বিবেচনা করে নেতা কর্মীরা তাঁকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করবে।

সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বিগত সময়ের সাধারণ সম্পাদক এমপি মামুনুর রশিদ কিরন প্রার্থী আছেন। তাঁরা বিপরীতে শক্ত কোন প্রার্থী না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগমের নাম শোনা যায়। তবে তিনি তাঁর প্রার্থীতার বিষয়ে নিশ্চিত কোন সিদ্ধান্ত জানান নি। মামুনুর রশিদ কিরন বলেন, তিনি বিগত সময়ে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, এবারও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভোট করবেন।

দীর্ঘ ষোল বছর পর বেগমগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক টিপু বলেন, নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হলে দলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় না।

প্রবীণ কর্মীদের প্রতি নবীন কর্মীরা শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে ফেলে তাছাড়া এলাকায় নতুন কর্মীর জন্ম হয় না। অঙ্গ সংগঠনগুলোও ঠিকমত কাজ করে না । ১৬ বছর মূল দলের সম্মেলন হয়নি । ১৭/১৮ বছর যুবলীগের সম্মেলন হয় না, ১৪/১৫ বছর ছাত্রলীগের কমিটি হয় না। এগুলো দলের বিকাশের জন্য অন্তরায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর