পটুয়াখালীর বাউফলে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়াঙ্কা রানী (২০) নামে এক গৃহবধূকে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী তাপস চন্দ্র এবং শাশুড়ি লক্ষী রানীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কালাইয়া এলাকায় ওই গৃহবধূকে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে আদাবাড়িয়া হাজির হাট এলাকার বাসিন্দা সুশীল কর্মকারের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রানী (২০) এর সঙ্গে বিয়ে হয় কালাইয়া এলাকার বাসিন্দা প্রিয়লাল হাওলাদারের ছেলে তাপস চন্দ্রের।
বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য তাপস প্রিয়াঙ্কাকে মারধর করতো। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার টাকার জন্য চাপ দেয় তাপস। বুধবার সকালে প্রিয়াঙ্কা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাপস খুঁটির সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার হাত বেঁধে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। দুপুরে সে পালিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যায়। রাতে প্রিয়াঙ্কা বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতনের স্বীকার প্রিয়াঙ্কা রানী জানান, পারিবারিকভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমাকে নির্যাতন করতো সে। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা জানা সত্ত্বেও আমাকে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে তাপস।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রিয়াঙ্কা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত স্বামীর দাবি তার স্ত্রীর মাথায় (ঘা) চর্মরোগ থাকায় স্ত্রীর সম্মতিতেই মাথার চুল ন্যাড়া করা হয়েছে।