মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না হাজীগঞ্জের মেধাবী ছাত্রী পান্না। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
➥ মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি হতে পারছেন না পান্না
সেই পান্নার দায়িত্ব নিয়েছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী আসনের সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে পান্নার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে তিনি পড়ালেখার দায়িত্ব নেবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে পান্নার পরিবারের খোঁজখবর নেন সাংসদ। মুঠোফোনে তিনি পান্নাকে বলেন, এখন থেকে আমি তোমাকে পড়াব। তোমার পড়ালেখার দায়িত্ব আমার।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে পান্না বলেন, এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য যিনি যুদ্ধ করেছেন এমন মহান ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পেরে প্রাণ ভরে গেছে। আমি কথা বলেই নিজেকে ধন্য মনে করছি। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
পান্না আরো বলেন, আমি মেডিকেলে পড়ালেখা করে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের সেবা করতে চাই। গ্রামের পল্লী চিকিৎসক কানন ভাই ও হাইস্কুলের আবদুল হক স্যারের অনুপ্রেরণাতেই আমার মধ্যে চিকিৎসক হবার ইচ্ছে জাগে।
পান্নার মা-বাবা বলেন, দুপুরে জেলা প্রশাসকও পান্নার ভর্তির দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এখন স্থানীয় সাংসদের প্রতিশ্রুতি পেয়ে নিজেদের ধন্য মনে হচ্ছে।
পান্না এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫.২৫ স্কোর পেয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারিক দারিদ্র্য।
পান্না চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের মুন্সী বাড়ির মেয়ে। তার বাবা মোঃ দুলাল মিয়া একজন রিকশাচালক ও মা কোহিনূর বেগম গৃহিণী।