নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে উদযাপিত হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৫ তম জন্মদিন। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কেক কেটে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করা হয়।
শেখ রাসেল প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের সহযোগিতায় শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী ও সমাজসেবা অধিদফতর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক একেএম সারোয়ার জাহান। অনুষ্ঠানে রাসিক কাউন্সিলররা ছাড়াও দুই শতাধিক শিশু-কিশোর অংশ নেয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তার রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কারণ তাদের মধ্যে ভয় ছিলো। খুনিরা মনে করতো, যদি বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ একজন বেঁচে থাকে, তবে আবারো এদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি বলেন, ‘সত্যিই সৃষ্টিকর্তার কী রহস্য, বিদেশে থাকায় সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রাণে বেঁচে যান। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সর্বক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন করছেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের খুনিদের অনেকের শাস্তি হয়েছে। যারা পলাতক আছে, তাদের দেশে ফিরিতে আনতে চেষ্টা করছে সরকার।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পাননি রাসেল। সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে তাকেও হত্যা করে।