কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে পাঁচদিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। ফলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াতে উভয় পাশে এখন পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে সাত শতাধিক যানবাহন।
দীর্ঘ সময় নদী পারের অপেক্ষায় থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ ও যানবাহনের চালক-শ্রমিকরা। বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাক চালকরাই বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। নদী পারের জন্য তাদের কয়েকদিন ধরেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়াতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অপেক্ষা করছে প্রায় দেড় শতাধিক যানবাহন। এরমধ্যে রয়েছে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস। আর গোয়ালন্দের মোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে অপেক্ষা করছে প্রায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
নদী পারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী ট্রাকচালক শফিক মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাঁঠালবাড়ি ঘাট পার হতে না পেরে অবশেষে দৌলতদিয়াতে চলে আসি। আমার মতো অনেকেই ওখান থেকে এই ঘাটে চলে এসেছেন। এখানে এসেও কোনো লাভ হলো না । এখানেও অনেক গাড়ি সিরিয়ালে রয়েছে।'
অপরদিকে পাটুরিয়াতে নদী পারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। পাটুরিয়া ঘাটে নদী পারের জন্য চার শতাধিক যানবাহনের অপেক্ষার বিষয়টি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা ঘাটের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান।
বিআইডব্লিউটিসি'র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে পাঁচদিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যার কারণে নদী পারের জন্য গাড়িগুলোকে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।'
তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে এবং দৌলতদিয়াতে চারটি ঘাট সচল রয়েছে।