গন্তব্যে ফিরছেন বাউল, ভক্ত ও সাধুরা

কুষ্টিয়া, দেশের খবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া | 2023-08-25 16:11:05

ছেঁউড়িয়া আখড়াবাড়ী থেকে: কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেঁউড়িয়া আখড়াবাড়ীতে ভাঙতে শুরু করেছে সাধুর হাট। বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহর তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে পুণ্যসেবার পরেই আসন গেড়ে বসা বাউলরা ফিরে যেতে শুরু করে যে যার গন্তব্যের দিকে। শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকায় দূরপাল্লার পরিবহনগুলোতে ভিড়ের সমাগম দেখা যায়।

কথা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মনির উদ্দিন শাহর। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এই প্রথম লালনের মাজারে এসেছেন। এর আগে তিনি বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছেন। সেই কৌতূহল থেকেই লালনের মাজারে আসা।

লালনের মাজারে ভক্ত, সাধু ও বাউল শিল্পীরা

ঢাকা থেকে আসা রাজু, সাগর, রোমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমরা তিনজন মিলে এই লালন উৎসবে এসেছি। আবার আসব এই ধামে।’

পুরান ঢাকা থেকে আসা ওমর ফারুখ আপন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমি কয়েকবছর ধরে এই লালন উৎসবে আসি। এখানে আসলেই লালন সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারি। তবে লালনের মর্মবাণী বোঝা কঠিন, বুঝতে হলে একজন গুরুর সান্নিধ্যে আসতে হবে।’

নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার এলাকা থেকে আসা ওহিদুল ইসলাম নামের এক বাউল জানান, বই পড়ে লালন সম্পর্কে জানা কঠিন। লালন সম্পর্কে জানতে হলে সাঁইজির ধামে আসতেই হবে। এখানে যে যত বেশি আসবে, সে তত বেশি লালন সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারবে।

গন্তব্যে ফিরছেন বাউল, ভক্ত ও অনুসারীরা

তিরোধান দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ভক্তরা এ উৎসব পালন করতে সমবেত হন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ সময় আখড়াবাড়ী দেশ-বিদেশ থেকে আগত কয়েক লাখ প্রাণের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে।

১২৯ বছর আগে ধরা থেকে দেহ লীলা সাঙ্গ করেছেন বাউলিয়ানার শুদ্ধ পুরুষ লালন ফকির। মানবধর্মের দিশারী ফকির লালনের দেহাবয়ব নেই দুনিয়ায়, তবে ভক্ত-অনুরাগীদের মননে আজও তিনি জীবিত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর