মেহেরপুর জেলার প্রতিটি ফিলিং স্টেশনে ঝুলছে 'নো হেলমেট নো ফুয়েল' ফেস্টুন। ফলে হেলমেট ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকরা। জেলার বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল চালকদের দিকে তাকালেই এ কার্যক্রমের একটি বড় সফলতা চোখে পড়ে। তবে হেলমেট ব্যবহারে এখনো অভ্যস্ত হননি আরোহীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মোরাদ আলির উদ্যোগে জেলা সদর, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার প্রতিটি ফিলিং স্টেশনে ঝুলানো হয়েছে 'নো হেলমেট নো ফুয়েল' লেখা ফেস্টুন। শুধু ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে দায়িত্ব শেষ হয়নি। প্রতিদিনই পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা ফিলিং স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে কার্যক্রমটির তদারকি করছেন। ফলে হেলমেট ছাড়া পেট্রোল বিক্রির সুযোগ নেই ফিলিং স্টেশনের।
তবে কিছু মানুষ পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী পরিচয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নির্দেশনা ভাঙতে ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
হোসেন ফিলিং স্টেশনে ম্যানেজার রিপন হোসেন বলেন, ফেস্টুন টাঙ্গানোর পর থেকে আমরা হেলমেট বিহীন মোটরবাইক চালকদেরকে পেট্রোল দিচ্ছি না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিশেষ পেশার কিছু মানুষ প্রতিদিনই এসে ঝামেলা করে। তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদেরকে বিব্রত করছেন।
মোটরসাইকেল চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, চালক ও আরোহীদের নিরাপত্তার জন্য হেলমেট ব্যবহার জরুরী। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে হেলমেট ছাড়া চলাচল করে অনেকেই হেলমেট ব্যবহারে বিরক্তি বোধ করেন। চলমান ট্রাফিক পুলিশের অভিযান ও ফিলিং স্টেশনের কঠোরতায় অনেকেই এখন হেলমেট ব্যবহারে অভ্যস্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, আমার এলাকায় যতগুলো ফিলিং স্টেশন রয়েছে সেখানে কঠোর নজরদারী করা হচ্ছে। এখন রাস্তায় খেয়াল করলে দেখা যাবে শতকরা ৯০ ভাগ মোটরসাইকেল চালকই হেলমেট ব্যবহার করছেন। এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শতভাগ মোটরসাইকেল চালকের হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে ফিলিং স্টেশন ছাড়াও বিভিন্ন দোকানে পেট্রোল বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে এই পেট্রোল প্রাপ্তি মোটর সাইকেল চালকদের জন্য স্বস্তিদায়ক। তবে 'নো হেলমেট নো পেট্রল' কার্যক্রম বাস্তবায়নে এটি একটি বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন অনেকেই।