কালবৈশাখী ঝড়ে রংপুরের পীরগাছায় আলাদী পাড়া আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার উপর আছড়ে পড়ে দুইটি গাছ। দীর্ঘ ছয় মাস অতিবাহিত হলেও গাছ দুটি অপসারণ করা হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গাছ দুইটির নিচ দিয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষকসহ মাদ্রাসাটির কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গাছের একটি অংশ ভবনের ওপর পড়ে দুইটি শ্রেণি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাঠদানে শ্রেণি কক্ষ সংকট দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে গাছ অপসারণের বিষয়ে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলাদী পাড়া আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে অবস্থিত শতবর্ষী একটি বট ও একটি পাকুড় গাছ চলতি বছরের মে মাসে কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়ে। উপড়ে পড়া গাছের আঘাতে দুইটি শ্রেণি কক্ষ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও গাছ দুইটি মাদ্রাসার মাঠ জুড়ে থাকায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছিলো। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ গাছ দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে গাছ দুটি শ্রেণি কক্ষের উপর ও মাদ্রাসার মাঠ জুড়ে পড়ে রয়েছে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী লাইলী খাতুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, গাছ দুটি সরিয়ে না ফেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাছের নিচ দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থী আল আমিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মাদ্রাসায় আসলে শ্রেণি কক্ষে বসে থাকতে হয়। গাছ দুইটার কারণে মাঠে খেলা যায় না।
অভিভাবক আব্দুল হামিদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গাছ দুটি শ্রেণি কক্ষ ও মাঠের মধ্যে পড়ে রয়েছে। কিন্তু কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গাছ দুটি দ্রুত অপসারণ করা দরকার।
আলাদী পাড়া আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার সামছুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, গাছ দুটি উপড়ে পড়ার পরই অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দুটি শ্রেণি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শ্রেণি কক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতেও সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, উপড়ে পড়ে যাওয়া গাছ দুটির মূল্য নির্ধারণে বন বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মূল্য নির্ধারিত পত্র পেলেই অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।