জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দেওড়া গ্রামে গৃহবধূ আরতি রাণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজনকে পাঁচ লাখ ও পাঁচজনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আক্কেলপুর উপজেলার মারমা গ্রামের সোহেল তালুকদার, দেওড়া সোনারপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন,দেওড়া গুচ্ছগ্রামের রাহিন, দেওড়া সাখিদার পাড়ার ফেরদৌস আলী, দেওড়া সোনারপাড়ার মজিবর রহমান, জগতি গ্রামের রুহুল আমীন ও দেওড়া গুচ্ছগ্রামের আজিজার রহমান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর রাতে দেওড়া গ্রামের উজ্জল মহন্তের স্ত্রী আরতি রাণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসামিরা গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে আরতি রাণী মারা যান। এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর আরতি রাণীর স্বামী উজ্জল মহন্ত বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে আক্কেলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানির পর আজ জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাত আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আসামি সোহেল ও ফেরদৌসকে পাঁচ লাখ টাকা আর বাকি পাঁচজনকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী আর বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ও রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজন ছিলেন।