দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সড়ক-মহাসড়কগুলোতে অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য দিন দিন আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সড়কে ঝরছে প্রাণ।
ফুলবাড়ী, বগুড়া, মধ্য পাড়া, রংপুর, পার্বতীপুর মহাসড়কের খেয়াল-খুশিমতো চলছে নসিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, টেম্পোসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন। যাদের নেই কোন রুট পারমিট, নেই চালকদের লাইসেন্স। তারপরেও রাস্তায় ঝুঁকির সঙ্গে চলাচল করছে এসব যানবাহন।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা হ্রাসে ২০১৫ সালের আগস্টে দেশের ২২টি মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক, অটোরিকশা, টেম্পো, থ্রি-হুইলারসহ অযান্ত্রিক যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারির প্রায় পাঁচ বছর পার হলেও ফুলবাড়ী উপজেলার সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলকারী এসব অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করা যায়নি। ফলে দিন দিন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে এসব অবৈধ যানবাহনের চলাচল। এর সাথে যোগ হয়েছে কৃষি কাজের প্রয়োজনে আমদানিকৃত শত শত ট্রাক্টর। ট্রাক্টরের সাথে ট্রলি লাগিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে পণ্য আনা নেওয়া। অদক্ষ ড্রাইভার দ্বারা চালানোর কারণে একই তালে বাড়ছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন তিনচাকার বাহন চালক বলেন, থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সড়ক ও মহাসড়কে ওইসব যানবাহন চালানো হচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে পুলিশ সড়ক থেকে আটক করলেও পরে সেগুলো দেনদরবার করে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্নে রাখার জন্য বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শাখা হিসেবে অনুমোদন নিয়ে স্থানীয়ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রাক্টর মালিক সমিতি, অটোচার্জার মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন, টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন, নসিমন-করিমন মালিক-শ্রমিক সমিতিসহ অন্তত এক ডজন বিভিন্ন নামে-বেনামে শ্রমিক ইউনিয়ন। সড়কে দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে অন্য কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে এসব শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে থানা পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে দেনদরবার করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, মাঝে মধ্যেই এগুলো আটক করা হচ্ছে। মহাসড়কে অবৈধ যান যাতে না চলাচল করে সে জন্য তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে।