কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে গেছে প্রশান্তের। প্রশান্ত কুমার বর্মণ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়ার হাটবামুনী গ্রামের বংশী চন্দ্র বর্মণের ছেলে।
জানা গেছে, তার বাবা একটি করাত কলের শ্রমিক। দৈনিক দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা মজুরি পান। বাবার সামান্য উপার্জন দিয়ে কোনও রকম সংসার চলে। তাও নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এর মধ্যে মেডিকেলে ভর্তির টাকা জোগাড় করা তার পরিবারের জন্য- কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতোই। ফলে তার উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আরও জানা গেছে, এতদিন নিজে ও অন্যদের সহযোগিতায় ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন বংশী চন্দ্র বর্মণ। কিন্তু ছেলে মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ার পর জানতে পারেন শুধু ভর্তি হতেই সাড়ে ১৮ হাজার টাকা দরকার। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ছেলেকে কলেজে ভর্তি করতে হবে। ফলে টাকা জোগাড়ের চিন্তায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।
প্রশান্ত কুমার বর্মণ জানান, ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে পড়াশুনা করেছেন তিনি। এখন বড় হয়ে দেশের সেবা করার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাবা বংশী চন্দ্র বর্মণ বার্তাটোন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমার অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। সেখানে ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। টাকার অভাবে ছেলের স্বপ্ন নষ্ট হতে বসেছে।’
এ অবস্থায় তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।