দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া প্রান্তে দীর্ঘ ১০-১২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরির দেখা পাচ্ছেন যানবাহন চালকরা। পদ্মা পারের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে মহাসড়কেই অপেক্ষা করছেন চালক ও শ্রমিকদের। অনেকেরই আবার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সড়কে।
দৌলতদিয়া ঘাটে ছয়টি পল্টুনের মধ্যে বর্তমান তিনটি পল্টুন সচল রয়েছে। বাকি তিনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ঘাট কর্তৃপক্ষ সেগুলো বন্ধ রেখেছেন। ফলে নদী পারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে যানবাহন পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি'র দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'প্রায় এক মাস আগে নদীতে বিলীন হয়ে যায় ১ ও ২ নং ফেরি ঘাটটি। যা এখনো বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে পদ্মার অব্যাহত ভাঙনের কারণে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) থেকে ৩ নং ঘাটটিও বিলীন হয়ে যায়। ফলে দৌলতদিয়ার ছয়টি ঘাটের মধ্যে বর্তমান তিনটি ঘাট সচল রয়েছে। যার কারণে যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে।'
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে। অপরদিকে গোয়ালন্দের মোড়ে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে সারা রাত ধরে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
নদী পারের অপেক্ষায় সারারাত সড়কে জেগে থাকা ট্রাক চালক কামাল উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'নদী পারের জন্য শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এখানে এসে পৌঁছায়। সারারাত ট্রাকেই জেগে ছিলাম। এখন সকাল ৮টায় ফেরির দেখা পেলাম।'
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় ৩ নং ঘাটটি থেকে মাটি সরে যাওয়ায় তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। ঘাটটি সচল করার জন্য দিনরাত কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ৩ নং ঘাটটি সচল করতে পারলে চারটি ঘাট দিয়েই যানবাহন পারাপার করা যাবে। তখন হয়তো গাড়ির চাপ কমে আসবে।'
বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১২টি ফেরি চলাচল করছে বলেও তিনি জানান।